রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:৪০ অপরাহ্ন
তালতলী প্রতিনিধি॥ বরগুনার তালতলী উপজেলা পরিষদের সরকারি পাঁচটি গুরুত্বপূর্ণ দপ্তরের দীর্ঘদিন যাবত প্রধান কর্মকর্তা নেই। পার্শবর্তী উপজেলার প্রধান কর্মকর্তা বা উপজেলার অন্যান্য দপ্তরের কর্মকর্তাকে অতিরিক্ত বা ভারপ্রাপ্ত দায়িত্ব দিয়ে চলছে সেবার কাজ। অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তাদের সপ্তাহে একদিন অথবা দুদিন অফিস করার কথা থাকলেও কোনো কোনো কর্মকর্তা মাসেও একবার অফিসে আসেন না এমন অভিযোগ ভুক্তভোগীদের।
এসব দপ্তরের প্রধান কর্মকর্তারা না আসায় দপ্তরের অন্যান্য কর্মকর্তা কর্মচারীরা অলস সময় কাটাচ্ছেন। এতে উপকারভোগী লোকজন সরকারের সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন, বিভিন্ন কাজে দূর-দূরান্ত থেকে সরকারি সেবা পাওয়ার জন্য এসব দপ্তরে এসে সাধারণ মানুষ ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন।
প্রধান কর্মকর্তা নাই এমন পাঁচটি দপ্তর হল, উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা, উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা, উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা, আমার বাড়ি আমার খামার (সমন্বয়ক), উপজেলা খাদ্য পরিদর্শক কর্মকর্তা। এসব কর্মকর্তারা জেলার বিভিন্ন উপজেলায় প্রধান কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন সেই সাথে অতিরিক্ত দায়িত্বও পালন করছে।
আমতলী উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা সমীর কুমার রায় তিনি তালতলী উপজেলা অতিরিক্ত খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা, আমতলী উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. তরিকুল ইসলাম তালতলী উপজেলায় অতিরিক্ত নির্বাচন কর্মকর্তা, শাহিনুর বেগম বেতাগীর উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা তিনি তালতলীতে অতিরিক্ত মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা, মো. আজাদুর রহমান তিনি বরগুনা সদর উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা তালতলী উপজেলায় অতিরিক্ত কর্মকর্তা ও মো. সিদ্দিকুর রহমান সমন্ব য়ক (ভারপ্রাপ্ত) আমার বাড়ি, আমার খামার কর্মকর্তার দায়িত্বে রয়েছেন।
তালতলী উপজেলা নির্বাহি অফিসার কায়সার হোসেন জানান, আমতলীর অধিকাংশ কর্মকর্তারাই তালতলীর অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকেন। এই শূন্যপদ গুলোর জন্য প্রতি মাসেই সংশ্লিষ্ট ডিপার্টমেন্ট ও জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে ফুলটাইম কর্মকর্তার জন্য আবেদন পাঠানো হয়। কিন্তু এ ব্যাপাওে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ গুরুত্ব দিচ্ছেন না।
তিনি আরও বলেন, উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা গুরুত্বপূর্ণ একটা পদ সেটাও শুন্য। তালতলীতে আড়াই লক্ষের বেশি জনগণ কিন্ত স্বাস্থ্যসেবা যারা নিশ্চিত করবে সেই ডিপার্টমেন্টের প্রধান ই নেই।
এ বিষয়ে বরগুনা জেলা প্রশাসক হাবিবুর রহমান বলেন, আমাদের প্রতি মাসেই রিপোর্ট দিতে হয় কোন কোন দপ্তরের কোন কোন কর্মকর্তার পদ শূন্য আছে তার তালিকা করে আমরা ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে পাঠাই তারা ব্যাবস্থা নিবে।
Leave a Reply